জেরুজালেমের পুরোনো শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান যা বায়তুল মুকাদ্দাস নামে পরিচিত। মসজিদুল আকসা যার অর্থ দূরের মসজিদ। মসজিদুল আকসা কোনো একক মসজিদ না। মসজিদে কিবলী, মসজিদে মারওয়ানী, মসজিদুল বোরাক এর সমন্বয়ে এই মসজিদ। এর সাথে একই প্রাঙ্গনে কুব্বাত আস সাখারা,কুব্বাত আস সিলসিলা, কুব্বাত আন নবী অবস্থিত। এই পুরো স্থানটিকে “হারাম আল শরীফ” বলে।
মসজিদ ও এর আশেপাশের এলাকা জুড়ে আয়তন ১,৪৪,০০০ বর্গমিটার। শুধু মসজিদের আকার ৩৫০০০ বর্গমিটার। ৫০০০ মুসলিম একসাথে নামায আদায় করতে পারে। এর ওযূর ঝর্না আল ক্বাস বা পেয়ালা নামে পরিচিত। ২টি বড় গম্বুজ ও৷ ১০ টি ছোট গম্বুজ আছে। মসজিদের মাঝখানে অবস্থিত Domb of the Rock বা” গম্বুজে সাখারা”। সাখারা অর্থ পাথর। ইসলামের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পাথরের এটি একটি। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এই পাথরের উপর আল্লাহর নির্দেশে পুত্র সন্তানকে কুরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন।
মসজিদটি প্রথম নির্মিত হয়েছিলো ৬৩৭ খ্রীস্টাব্দে উমর ইবনে খাত্তাব দ্বারা। ৭৪৬ সালে মসজিদটি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায়। ৭৫৪ সালে খলিফা আল মনসুর পুনঃ নির্মাণ করেন। ৭৮০ সাল সহ বিভিন্ন সময় এটি সংস্কার করা হয়। ১০৩৩ সালে ভূমিকম্প এ আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই বছর পর খলিফা আজ জাহির আবার নির্মাণ করেন। খ্রিষ্টানদের কাছে “Temple mount” নামে পরিচিত। খ্রিষ্টা্নরা রা ৮৮ বছর দখলে রাখে মসজিদটি।এবং৷ এক পর্যায়ে গীর্জায় রুপান্তরিত করে। মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে মসজিদুল আকসা নিয়ে ক্রুসেড যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ১১৮৭ সালে সুলতান সানলাউদ্দিন আয়ুবী পুনরায় মুসলমানদের অধিকারে আনেন। বর্তমানে মসজিদটি মুসলিমদের অধিকারে থাকলেও ভৌগলিকভাবে এটি দখল করে রেখেছে ইসরাইল।
মুসলিমদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ? আল-আকসা মুসলিমদের জন্য কেনো গুরুত্বপূর্ণ? ১. প্রথম কিবলা। ২. আল-ইসরা ওয়াল মিরাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। ৩. মক্কা মদীনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। ৪. শত নবী ও সাহাবা শায়িত আছেন। ৫. আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক আশ্চর্য ঘটনার সাক্ষী। ৬. কুরআনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৭০বার এই জায়গার নাম বলা হয়েছে। ৭. একমাত্র মসজিদ যেখানে পূর্ববর্তী সকল নবী রাসুল ও ফেরেশতাদের ইমাম হয়ে মহানবী (সঃ) নামাজ আদায় করেছেন। ৮. মসজিদুল হারাম ছাড়া একমাত্র মসজিদ, যার নাম সরাসরি কুরআনে আছে। একই সাথে ইহুদী ও খ্রিষ্টানরাও তাদের পবিত্র স্থান বলে দাবি করে জেরুজালেমের এই স্থাপনাকে
পাঠকের মতামত